Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশে কৃষি বিষয়ক সেবা প্রদান কারী সর্ববৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই অধিদপ্তরের দায়িত্ব হলো সকল শ্রেণির চাষিদেরকে তাদের চাহিদা ভিত্তিক ফলপ্রসু ও কার্যকর সম্প্রসারণ সেবা প্রদান করা যাতে তারা তাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে স্হায়ী কৃষি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মূল কাজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করা। ইতোমধ্যে এই অধিদপ্তর নিবিড় কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে,বিশেষত ধান ও গমের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। সরকার কর্তৃক গৃহীত Revised Extension Approach বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি সেবা এবং কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), তদানিন্তন পূর্বপাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নামে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (ই.পি. অধ্যাদেশ XXXVII,১৯৬১) এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিএডিসি প্রধানত পাঁচটি উইং (প্রশাসন, অর্থ, ক্ষুদ্রসেচ, বীজ ও উদ্যান, সার ব্যবস্থাপনা) এবং চারটি (প্রশাসন, অর্থ, ক্ষুদ্রসেচ, বীজ ও উদ্যান) পুল এর মাধ্যমে যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার টেকসই রুপ দিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খাদ্য উৎপাদনের জন্য মানসম্পন্ন বীজ, সার এবং সেচের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মানসম্পন্ন বীজ, সার ও সেচ সুবিধা সঠিক সময়ে ও সহনশীল মূল্যে কৃষকের দোরগোড়ায় সরবরাহ করছে। সারাদেশের কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও সেবা প্রদানের মহান দায়িত্ব পালন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নতমানের মানসম্পন্ন বীজ প্রধান কৃষি উপকরণ। বিএডিসি’র মাধ্যমে আন্তঃ রাষ্ট্রীয় চূক্তির আওতায় তিউনিশিয়া ও মরক্কো, বেলারুশ, রাশিয়া, কানাডা প্রভৃতি দেশ হতে নন ইউরিয়া সার আমদানি করা হয় এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। সেচ এলাকা সম্প্রসারণ এবং কৃষক পর্যায়ে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিএডিসি’র মাধ্যমে বিভিন্ন সেচ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)
১৯৭৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে কৃষি গবেষণা সমন্বয়, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের জন্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে কৃষি গবেষণার গুরুত্ব ও সাফল্য বিবেচনায় এ্যাক্টের আওতায় কার্যপরিধি অধিকতর বৃদ্ধি, সুসংহত ও জোরদার করে ১৯৯৬ সালে কাউন্সিলকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব প্রদান পূর্বক ‌’’বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন ১৯৯৬’’ পুনঃ প্রনয়ণ করা হয়। এই আইনের আওতায় কৃষি খাতের অধীন শস্য, পশুসম্পদ, মৎস্য ও বন বিষয়ক উপখাতের সংগে সংশ্লিষ্ট দশটি জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে নিয়ে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম (NARS) পূনর্গঠিত হয়। গবেষণা ইনস্টিটিউট ও সহযোগী সকল সংস্থাসমূহের গবেষণা ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার, কর্মসূচীর সমন্বয়, জাতীয় নীতিমালার ভিত্তিতে গবেষণা পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ, গবেষণা মূল্যায়ন, পরীবিক্ষণ এবং জাতীয় পর্যায়ে কৃষি গবেষণার মান উন্নয়ন ও দিক নির্দেশনা প্রদান কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ১৯৯৬ সালে এ্যাক্টের আওতায় একটি শক্তিশালী গভর্ণিং বডির (জিবি) নির্দেশনায় NARS-এর নীতি নির্ধারণী কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। মাননীয় কৃষি মন্ত্রী উক্ত গভর্ণিং বডির চেয়ারপারসন। মাননীয় মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী এবং মাননীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রীদ্বয় কো-চেয়ারপার্সন হিসাবে জি.বি পরিচালনা করেন। তাছাড়া, সম্মানিত সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, প্রগতিশীল কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ, বন, মৎস্য ও পশুসম্পদ অধিদপ্তর সমূহের প্রধানগণ সহ মোট ২৬ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর গভর্ণিং বডিতে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত আছেন। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বাংলাদেশ কৃষি গবষেণা ইনস্টিটিউট (বারি)
বাংলাদেশ কৃষি গবষেণা ইনস্টিটিউট দেশের বৃহত্তম ফসল গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের ফসলের জাত উদ্ভাবন, বপন, পরিচর্যা, উদ্ভিদের রোগবালাই দমন, মাটির উর্বরতা ও পানি ব্যবস্থাপনা, শস্য উৎপাদন, ব্যবহার, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা,বাজারজাতকরণ সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রয়োগিক বিষয়ে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে থাকে। ইনস্টিটিউট প্রধানত তিনটি উইং এর মাধ্যমে যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে থাকে। ১। গবেষণা উইং যার অধীনে ১৫ টি বিভাগ,৬ টি কেন্দ্র,৬ টি আঞ্চলিক কেন্দ্র,২৪ টি উপ-কেন্দ্র,৯ টি এফএসআরডি এবং ৭২ টি এমএলটি কেন্দ্রের আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করে। ২। সেবা ও সরবরাহ উইং যার অধীনে গবেষণা ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ সরবরাহ এবং অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ৩। প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং যার আওতায় বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ ও এনজিও কর্মীসহ কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।আরও বিস্তারিত জানতে ……

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটউট (ব্রি)

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার একটি প্রধান অঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট,  যা দেশের প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদন ও জাত উন্নয়নে কাজ করছে। ঢাকা থেকে ৩৬ কিলোমিটার উত্তরে জয়দেবপুরে ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর পূর্বপাকিস্তান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসেবে এর যাত্রা শুরু। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর এ প্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট,  ১৯৭৩ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট  (সংশোধনী) অ্যাক্ট,  ১৯৯৬ অনুযায়ী একটি বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মহাপরিচালক এ বোর্ডের চেয়ারম্যান,  যিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী। এ প্রতিষ্ঠানের ১৯টি গবেষণা বিভাগ,  তিনটি সাধারণ সেবা এবং আটটি প্রশাসনিক শাখা রয়েছে। এখানে ২৪৯জন বিজ্ঞানীসহ মোট জনবল রয়েছে ৬৭৩জন। বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এমএস এবং পিএইচডিসহ উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের পরিবেশে বৈচিত্র্য রয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এলাকা খরা প্রবণ,  মধ্যবর্তী এলাকা বন্যা প্রবণ এবং উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চল লবণাক্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। বৈচিত্র্য অনুসারে তিনটি প্রধান কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে মূলত জমি,  মাটি, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর তারতম্যের ভিত্তিতে। এ বৈচিত্র্য ধান উৎপাদনে ব্রির বিজ্ঞানীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

নতুন ধান জাত উদ্ভাবনের গবেষক এবং উৎপাদন প্রকৌশলীরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্রি সদর দপ্তরে কাজ করছে। এ কারণে দেশের কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, ফেনীর সোনাগাজী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষিরা, সিরাজগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জে আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানে আধুনিক গবেষণার সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রয়েছে গবেষণাগার,  গ্রিন হাউজ এবং পরীক্ষণ মাঠ। ব্রি'র রয়েছে একটি আধুনিক জার্ম প্লাজম ব্যাংক, ২০টি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার, দশটি গ্রিনহাউজ,  দশটি নেটহাউজ এবং ৭৬.৮৩ একর পরীক্ষণ মাঠ (সদরদপ্তরে)। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে আধুনিক গবেষণা সুবিধা, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্র সিরাজগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জ।

ব্রি এ পযর্ন্ত ৮৮টি ইনব্রিড এবং ৬টি হাইব্রিডসহ মোট৯৪টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। ব্রি উদ্ভাবিত এসব জাত দেশের মোট উফশী ধানের আওতা ভুক্ত এলাকার শতকরা ৮০ভাগ জুড়ে চাষ হয় এবং এর থেকে আসে দেশের মোট ধান উৎপাদনের শতকরা ৯০ ভাগ। আরও বিস্তারিত জানতে ……

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই)
পাটের উন্নয়ন সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১৯৫১ সালে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিজেআরআই) প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তমানে বিজেআরআই পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসলের কৃষি গবেষণা, কারিগরী গবেষণা এবং পাট হতে টেক্সটাইল পণ্য উদ্ভাবন সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করে থাকে।রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, শেরে বাংলা নগরের মানিক মিয়া এভিনিউতে বিজেআরআই এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। মানিকগঞ্জে অবস্থিত পাটের কৃষি পরীক্ষা কেন্দ্র, দেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে অবস্থিত ৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্র,৩টি উপ-কেন্দ্র এবং ১টি পাট বীজ উৎপাদন ও গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। অপরদিকে বিজেআরআই এর প্রধান কার্যালয়ে পাটের কারিগরী গবেষণা পরিচালিত হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত বিজেআরআই কৃষি গবেষণার মাধ্যমে ৪০টি পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত এবং কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। কারিগরী গবেষণার মাধ্যমেও ৪০টি পাট পণ্য ও কারিগরী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সম্প্রতি “জুট জেনোম সিকোয়েন্সিং” আবিস্কারের মাধ্যমে বিজেআরআই পাট গবেষণার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) এদেশের একমাত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান যাকে ইক্ষুর উপর গবেষণা এবং এর মাধ্যমে প্রযুক্তি উদ্ভাবনপূর্বক চিনিকল ও চিনিকল বহির্ভূত এলাকার আখচাষীদের আখচাষে সহায়তা প্রদান করার ম্যান্ডেট দেয়া হয়েছে। বিএসআরআই এর প্রধান কার্যালয় ঈশ্বরদীতে অবস্থিত এবং এর দু’টি আঞ্চলিক কেন্দ্র,৭ (সাত) টি উপকেন্দ্র এবং ১ (এক) টি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র রয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয় এর ১১ (এগার) টি গবেষণা বিভাগ এবং প্রশাসন,হিসাব ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী ইউনিট এর মাধ্যমে। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বার্ষিক গবেষণা কর্মসূচী কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রতি বছর বার্ষিক গবেষণা কর্মসূচী প্রণয়নের পূর্বে ‘গবেষণা-সম্প্রসারণ’ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ইক্ষুচাষ বিষয়ক সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং গবেষণার জন্য সুপারিশ প্রণীত হয়। বিজ্ঞানীগণ তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা-সম্প্রসারণ কর্মশালায় প্রণীত সুপারিশ এর আলোকে নিজ নিজ গবেষণা কর্মসূচী প্রণয়ন করেন। এরপর ঐ গবেষণা কর্মসূচীগুলি স্ব-স্ব ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ এবং উর্দ্ধতন বিজ্ঞানীগণ পর্যালোচনা করেন। এ পর্যালোচনা কর্মশালায় বিজ্ঞানীগণ একই ধরনের অন্যান্য গবেষণার ফলাফল এবং তথ্যসূত্রও উপস্থাপন করেন। এভাবেই দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনা ও প্রয়োজনীয় সংযোজন পরিমার্জনের পর গবেষণা কর্মসূচী চূড়ান্ত হয়। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি (বিনা) ১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্থাপিত হয়। বিনার ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরমাণু শক্তি শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে বংশগতি ধারায় চিরস্থায়ী পরিবর্তন আনয়ন করত: উন্নতমানের অধিক ফলনশীল নতুন জাতের শস্যের উদ্ভাবন, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনায় মাটির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যাবলী নিরুপণ, শস্যের রোগ ও পোকা দমনের পদ্ধতি নির্ণয়, সুষ্ঠু সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত নতুন জাত সমূহের কৃষিতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা হয়ে থাকে। গবেষণা কাযর্ক্রম সমূহ ১১ (এগার) টি বিভাগের মাধ্যমে যথা: উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, ফসল দেহতত্ত্ব বিভাগ , মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, কীটতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, কৃষি প্রকৌশল বিভাগ, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ, বায়োটেকনোলজি বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ এবং কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিনা কতৃর্ক এ যাবৎ ধান, পাট, সরিষা, মুগ, চীনাবাদাম, ছোলা, মসুর, খেসারী, টমেটো, তিল ও সয়াবীন ফসলের উচ্চ ফলনশীল এবং উন্নত গুনাবলী সম্পন্ন ৫৭ টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। উদ্ভাবিত জাতসমূহ জাতীয় বীজ বোর্ড, বাংলাদেশ কতৃর্ক অনুমোদনের মাধ্যমে মাঠ পযার্য়ে চাষাবাদ হচ্ছে। আরও বিস্তারিত জানতে ……
তুলা উন্নয়ন বোর্ড (সিডিবি)
১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের Resolution No. III Cotton-8/72-393 dt.14th December 1972 মোতাবেক তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ সালে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের রিজুলিউশনটি সংশোধন করা হয় যথা ১। তুলাচাষি সংস্থা বা কমিটিসমূহকে সংগঠিত করে তুলা চাষের উন্নয়ন সাধন এবং কৃষি উপকরণ ও উন্নত বীজ, সার সরবরাহ, উদ্ভিদ সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ, সেচ সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়াদী। ২। তুলা চাষিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রর্দশনী খামার স্থাপন। ৩। চাষিদের উৎপন্ন বীজ তুলা প্রক্রিয়াকরণের জন্য জিনিং ব্যবস্থাকে উৎসাহ প্রদান। ৪। উৎপাদন পর্যায়ে বীজ তুলা বাজারজাতকরণের সহায়তা প্রদান এবং ৫। তুলা উন্নয়ন কর্মসূচীর সম্প্রসারণ এবং সম্প্রসারিত উৎপাদনের নিরবিচ্ছিন্নতার জন্য গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। এছাড়া আরও ৪টি আঞ্চলিক অফিস ঢাকা,যশোর,রংপুর এবং চট্টগ্রাম,১৩টি জোনাল অফিস, ১৭৯ টি ইউনিট অফিস ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫টি গবেষণা কেন্দ্র/খামার এর সাথে সংযুক্ত ৩টি উপ-কেন্দ্র রয়েছে। জিনিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১২টি জিনিং কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও সদর দপ্তরে ১টি আঁশ প্রযুক্তি ল্যাবরেটরী রয়েছে। অধিকন্ত এই কেন্দ্রগুলোতে গবেষণা, মৌলবীজ ও ভিত্তিবীজ উৎপাদন এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তুলাচাষীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। আরও বিস্তারিত জানতে ……
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা।১৯৬১ সনে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক তথ্য ও প্রযুক্তি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজে সচেষ্ট রয়েছে।মূলত তিনটি গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক ও আইসিটি মাধ্যমের সহায়তায় এআইএস কৃষি তথ্য বিস্তারের কাজটি করে চলেছে।প্রিন্ট মাধ্যমে কৃষি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন মুদ্রণ সামগ্রীর প্রকাশ ও বিতরণের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বেতার,টেলিভিশনে কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারে কারিগরী সহায়তা প্রদান এআইএস থেকে করা হয়। তাছাড়া এআইএস থেকে নির্মিত কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন ‘ইনফোটেইনমেইন্ট’ ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন গাড়ীতে করে তৃণমূল পর্যায়ে প্রদর্শন করা হয়।আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষির সূত্রপাত ঘটিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের অন্যতম কারিগর কৃষি তথ্য সার্ভিস। আধুনিক তথ্য বহুল ওয়েবসাইট (www.ais.gov.bd), কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, মোবাইলভিত্তিক কৃষি তথ্য সেবা, কমিউনিটি রেডিও, কৃষক টেলিভিশন, ই-বুক এসবের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি বা ই-কৃষির সফল বাস্তবায়ন ঘটিয়ে চলেছে এ সংস্থাটি। জাতীয় তথ্য কোষ ও জেলা তথ্য বাতায়নে কৃষি বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শের গর্বিত অংশীদার কৃষি তথ্য সার্ভিস। এসবের পাশাপাশি কৃষি সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইভেন্ট সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কৃষি তথ্য সার্ভিস সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।বর্তমানে কৃষি বিষয়ক প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ভিত্তিক ‘ফোকাল পয়েন্ট’ এর দায়িত্ব কৃষি তথ্য সার্ভিস পালন করে চলেছে। আরও বিস্তারিত জানতে ……
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা)
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শীর্ষস্থানীয় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র । কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগ/ দপ্তরের প্রথম শ্রেণীর/সমমান পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে কৃষিতে মানব সম্পদ উন্নয়নে নাটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । এই একাডেমি সারা বছর ব্যাপি যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। ইহা ১৪ মার্চ, ১৯৭৫ হতে ২৬ জুন ১৯৮৪ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সম্প্রসারণ সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সার্ডি) নামে জাইকা প্রকল্পের আওতাধীন ছিল । জাইকা প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৯৮৪ সালের ২৭ জুন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ উইং এর আওতাভূক্ত হয় । বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল সার্ডি বিলুপ্ত করে এবং ২০১৪ সালের ৭ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) প্রতিষ্ঠা করে । নাটা বর্তমানে মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদান, গবেষণা এবং প্রকাশনার মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ সকল প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।আরও বিস্তারিত জানতে ……
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ড্যাম)
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য এবং ভোক্তাদের যৌক্তিক মূল্যে পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নত বিপণন সেবা প্রদান করা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রধান ম্যান্ডেটসমূহ নিম্নরুপঃ কৃষিপণ্যের কৃষক প্রাপ্ত, পাইকারী ও খুচরা বাজার দর, সরবরাহ, চলাচল ও মজুদ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা এবং রেডিও, পত্রিকা, বুলেটিন এবং ওয়েব এর মাধ্যমে তা কৃষক, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাগণের অবগতির জন্য প্রচার করা। বাজারদর মনিটর করা, বাজারদরের হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থার পরামর্শ প্রদান করা। ব্যবসায়ী এবং পরিবহণ সংস্থার সহযোগিতায় কৃষিপণ্য বিশেষ করে পঁচনশীল পণ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হতে ঘাটতি এলাকায় প্রেরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। কেন্দ্রীভূত উৎপাদন এলাকায় কৃষক উৎপাদিত পণ্যের পরিবহণ ও বিক্রয়ে সহায়তা প্রদান করা। কৃষিপণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৬৪ এর প্রয়োগ করা। কৃষিপণ্যের বিপণন এর উপর গবেষণা/সমীক্ষা পরিচালনা করা, বিপণন ব্যয় ও ব্যবসায়ীদের লভ্যাংশ নির্ধারণ/নির্ণয় করা, বিপণন সমস্যা ও সমস্যা ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিপণন ব্যয় হ্রাসের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরামর্শ প্রদান করা। গুরুত্বপূর্ণ বিতরণ/ভোগ এলাকায় পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্বলিত কৃষিপণ্যের পাইকারী বাজার নির্মাণ করা এবং উন্নত বিপণন ব্যবস্থা কার্যক্রম গ্রহণ/প্রবর্তন করা। বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পশুর চামড়া ছাড়ানো, শুকানো ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সম্প্রসারণ সেবা প্রদান করা। এবং বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, ফসলের সংগ্রহ কর্মসূচী ও গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্যের মূল্য সহায়তা বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করা এবং কৃষিপণ্যের বিপণন, মজুদ, বিতরণ, রপ্তানী ও আমদানী বিষয়ে নীতি প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করা। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী (এসসিএ)
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা যা সকল কৃষি বীজের অনুমোদিত জাতসমূহের প্রত্যয়ন প্রদান ও মান নিয়ন্ত্রণ করে। সংস্থাটি ১৯৭৪ সনে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের প্রসারমান বীজ শিল্প উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর ঢাকা থেকে ৩৪ কিঃ মিঃ উত্তরে ঢাকা গাজীপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। ফসলের ইনব্রিড ও হাইব্রিড জাতের মূল্যায়ন, মাঠ পরিদর্শন এবং বীজ পরীক্ষার মাধ্যমে বীজের মান নিশ্চিতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর আওতায় একটি জাত পরীক্ষাগার ও একটি কন্টোল ফার্ম, চারটি আঞ্চলিক অফিস, ত্রিশটি ফিল্ড অফিস, একটি কেন্দ্রীয় বীজ পরীক্ষাগার, পাঁচটি আঞ্চলিক বীজ পরীক্ষাগার এবং পঁচিশটি মিনি বীজ পরীক্ষাগার রয়েছে । আরও বিস্তারিত জানতে ……
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১৯৯২ সালে গঠিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত- (১) চেয়ারম্যান, সরকার কর্তৃক মনোনীত, (২) কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক, সদস্য (৩) কৃষি মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত তিনজন সদস্য, (৪) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক, মনোনীত একজন সরকারী সদস্য, (৫) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, রাজশাহী (৬) জেলা প্রশাসক, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, নাটোর এবং বগুড়া জেলার মাননীয় সংসদ সদস্যগণ কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা। মনোনীত সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে তাঁহাদের পদে বহাল থাকেন। কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর আওতাধীন আছে-(ক) ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদ বৃদ্ধি ও ব্যবহার, (খ) সেচ কার্যের উদ্দেশ্যে গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও ব্যবহার, (গ) সেচ কাজে ব্যবহার্য পানি বন্টন ব্যবস্থা এবং সেচযন্ত্রপানি নিয়ন্ত্রণ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, (ঘ) সেচ যন্ত্রপাতির (গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ ও শক্তিচালিত পাম্প) এবং ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সমূহের বিদ্যুতায়ন (ঙ) মৎস্য চাষ ও কৃষি কাজে ব্যবহারের নিমিত্ত পুকুর বা খাল পুণঃখনন, (চ) পরিবেশ ভারসাম্য সংরক্ষণ কল্পে বনায়ন, (ছ) ফিডার রোডের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, (জ) গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ এবং অন্যান্য পাম্প ব্যবহারের মাধ্যমে উহাদের নিয়ন্ত্রণ এলাকায় গম, যব, গোলআলু, ডাল ও তৈল বীজের ন্যায় শস্যাদির উৎপাদন দ্বারা ফসলের বৈচিত্রায়ন। আরও বিস্তারিত জানতে ……
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) তিন দিন ও সপ্তাহব্যাপী খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানব সম্পদের উন্নয়ন করে থাকে। ঢাকায় আয়োজিত প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন । এছড়াও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাঠ কর্মীদের জন্যে তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ জেলা ও উপজেলা হেড কোয়ার্টারে বাস্তবায়ন করা হয়। সাধারণতঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা. স্কুল শিক্ষক, এনজিও মাঠকর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, ইমাম এবং কিষাণ কিষাণী এ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন। উভয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে হাতে কলমে (ব্যবহারিক) শিক্ষা দেয়া হয় । এভাবে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষণ এর মাধ্যমে লব্দ অভিজ্ঞতা প্রশিক্ষণার্থীগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে সমর্থ হবেন । কোর্সটি অদ্বিতীয় হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ। কারণ উহার বহুমূখী বিষয়াবলী, সমন্বিত এবং হলিস্টিক এপ্রোর্চ যা খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করে। আরও বিস্তারিত জানতে ……
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)
ভূমি, মাটি ও পানি সম্পদের উৎপাদন ক্ষমতা বজায় ও সংক্ষণের প্রয়োজনে এসব সম্পদের প্রকৃত মূল্যায়ন ও উন্নয়ন সম্ভাবনার ভিত্তিতে সর্ব্বোচ লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে ‌সয়েল সার্ভে প্রজেক্ট অব পাকিস্তান নামে এ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর উদ্দেশ্য ছিল কৃষি উন্নয়নের জন্য সমগ্র দেশের প্রাথমিক মৃত্তিকা জরিপ (Reconnaissance Soil Survey) সম্পন্ন করা। বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর ১৯৭২ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি মৃত্তিকা জরিপ বিভাগ রূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৭৫ সালের মধ্যে দেশের প্রাথমিক মৃত্তিকা জরিপ সম্পন্ন করা হয়। ১৯৮৩ সালে কৃষি উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৃত্তিকা জরিপ বিভাগটির পূনর্গঠন, সম্প্রসারণ এবং নতুন নামকরণ করে বর্তমান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট তথা Soil Resource Development Institute (SRDI) প্রতিষ্ঠা করা হয়। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদ সীমিত। সীমিত এ সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। ভূমি ও মাটির গুণাগুণ, বৈশিষ্ট্য, সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে মাটির শ্রেণি বিন্যাস এবং এ সমস্ত উপাত্ত সম্বলিত মানচিত্র প্রণয়ন ও সরবরাহ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)-এর প্রধান কাজ। গবেষণা ও সম্প্রসারণধর্মী এ প্রতিষ্ঠানটি ভূমি, মৃত্তিকা, সার ও সেচের পানির সুষ্ঠু ব্যবহার বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর/সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঠ কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি মাটির ক্রমবর্ধমান অবক্ষয়, সেচের পানির দূষণ, ভূমির অপব্যবহার, মাটিতে ফসলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি, ভূমির নিশ্বাশন জটিলতা বিষয়ে নিয়মিত পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও সমস্যা সমাধানকল্পে গবেষণামূলক কাজ করে থাকে। আরও বিস্তারিত জানতে ……

হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (হর্টেক্স ফাউন্ডেশন)
হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সংক্ষেপে হরটেক্স ফাউন্ডেশন, ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে কোম্পানী আইনের ১৯১৩ বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে শাক-সব্জি, ফল-মূল বিশেষভাবে অপ্রচলিত উচ্চমূল্যের পণ্যের উৎপাদন, গুনগত মান উন্নয়ন এবং রপ্তানী প্রসারের লক্ষে কৃষক ও রপ্তাণীকারকদের সহায়তা ও অনুসাঙ্গিক সেবা প্রদান করে। ৭(সাত) সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্যদ (গভর্নিং বডি) দ্বারা হর্টেক্স ফাউন্ডেশন পরিচালিত, যার মধ্যে দুই জন সরকারী প্রতিনিধি, অবশিষ্ট ৫ (পাঁচ ) জন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধি।সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্যদ (গভর্নিং বডি)র চেয়ারম্যান। এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। হর্টেক্স ফাউন্ডেশন প্রধানত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের স্বার্থক বাস্তবায়নের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। ইহা কার্যক্রমের প্রকৃত আয় ব্যয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত মূলক সেবা প্রদান করে। আরও বিস্তারিত জানতে ……